প্রতিটা বাংলাদেশি আর্টিস্টকে যে ১০টি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়
by Bishal Dhar
২০:২০, ৮ অক্টোবর ২০২২
আপনি কি একজন বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট কিংবা গ্রাফিক ডিজাইনার বা মিউজিশিয়ান অথবা কপিরাইটার? নাকি একজন গায়ক বা ভয়েস ওভার আর্টিস্ট বা বিজ্ঞাপন নির্মাতা? নাকি এগুলোর কোনোটাই না, আপনি একজন অভিনেতা বা পেইন্টার। আপনি আসলে পেশায় যেটাই হন না কেন, আপনি যদি বাংলাদেশের ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির কেউ হন, তাহলে আমাদের আজকের তালিকার অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্য দিয়ে নিশ্চয়ই আপনাকে কখনো না কখনো যেতে হয়েছে।
১. “ভাই একদমই বাজেট নাই। এইবার করে দেন, পরে আরো কাজ দিবো” এই ধরণের মুলা ঝোলানো কথা শুনে জীবন পার করে দিতে হয়
২. বিসিএস না দেওয়া কিংবা ৯-৫ টা চাকরি না করায়, পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে কথা শুনতে হয়
৩. আত্নীয়দের আরেকটা জাতীয় ডায়লগ- “আরে এসব করে কি হবে?” এটা প্রায়ই হজম করতে হয়
৪. এদিকে ক্লায়েন্টরা ভাবে আর্টিস্টরা আলো-বাতাস খেয়ে বাঁচে। তাই পাওনা টাকার জন্য দিনের পর দিন তাদের পেছন পেছন ঘুরতে হয়
৫. গায়ক হলে বাসায় কোন গেস্ট আসা মাত্রই কিংবা কোথাও গেলেই অনিচ্ছা স্বত্বেও গান শোনানোর অনুরোধের ঢেঁকি গিলতে হয়
৬. আর ছবি আঁকা কিংবা ছবি তুলতে জানা মানেই রাত-বিরেতে ছবি আঁকার অনুরোধ আর দাওয়াত দিয়ে ফ্রি কিছু ছবি তুলে দেয়ার অনুরোধে জীবন পার করতে হয়
৭. অনেকেই মনে করে আর্টিস্টরা হুকুম দিলেই সফটওয়্যারে আর্টওয়ার্ক হয়ে যায়, তাই বারবার ক্লায়েন্টের স্টুপিড মার্কা ফিডব্যাক সহ্য করতে হয়
৮. পার্টনারকে সময় দিতে না পেরে, নানান রকম বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়
৯. ছেলে আর্টিস্ট মানেই গাঁজাখোর, মদখোর কিংবা মেয়ে জনিত বাজে স্বভাব আছে। এইসব শুনতে হয়।
১০. আর অন্যদিকে মেয়ে আর্টিস্ট মানেই তার পোশাক খারাপ কিংবা চরিত্র খারাপ টাইপ কথা শুনতে হয়।
SHARE THIS ARTICLE