যেসব স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস অলটারনেটিভ কিনে ট্রাই করে দেখতে পারেন
by Nabila Faiza Islam
২০:০৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
স্ন্যাকস খেতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। আজকাল স্ন্যাকস খাওয়া মানেই অনেকে মনে করে বাইরের ফাস্ট ফুড বা আনহেলদি খাবার খাওয়া। কিন্তু স্ন্যাকস মানেই যে আনহেলদি বা অস্বাস্থ্যকর খাবার, তা কিন্তু না। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেয়ে বরং সকলেরই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বা নাশতা খাওয়া উচিত। কি রকমের স্বাস্থ্যসম্মত স্ন্যাকস আপনারা কিনতে পারেন, তা দেখে নিন।
১. বাদাম - স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন কাঠবাদাম। কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্টস, হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন আর ফাইবার। কাঠবাদামে থাকা ম্যাগনেশিয়াম আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়াও ক্ষুধা লাগলে কাঠবাদাম হতে পারে একটি সুস্বাদু অপশন।
২. ওটস - ওটস এমন একটি খাদ্য যা আপনার ওজন কমাতে, ব্লাড সুগার কমাতে ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কমাতে সহায়তা করবে। ওটসে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং এন্টিঅক্সিডেন্টস। ওটসের নিউট্রিশন আর স্বাস্থ্যকর দিকগুলোর কারণেই এটা স্ন্যাকস হিসেবে একটি সেরা অপশন।
৩. ডার্ক চকলেট - ডার্ক চকলেট একটি নিউট্রিশনে ভরপুর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। যারা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চান অথচ চকলেটও পছন্দ করেন, তারা ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকলেট এন্টিঅক্সিডেন্টস এর উৎস হওয়ার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ব্রেইন ডেভেলপমেন্টেও ডার্ক চকলেটের অমূল্য অবদান আছে।
৪. ডালিম - মাত্র এক কাপ ডালিম দানায় রয়েছে আপনার দৈনন্দিন চাহিদর ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি, ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে, ১৬ শতাংশ ভিটামিন বি৯ ও ১২ শতাংশ পটাশিয়াম। ২. রক্তচাপ ডালিম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
৫. শশা - শশায় কম ক্যালরি থাকলেও আছে প্রচুর নিউট্রিয়েন্টস। শশা এমন একটি খাদ্য যা পানি স্বল্পতা এড়াতে সাহায্য করে। ওজন বৃদ্ধি কমাতে এবং ব্লাড সুগার কমাতে শশা সহায়তা করতে পারে। শশার ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
৬. গাজর - গাজরে আছে বেটা ক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন কে-১, পটাশিয়াম এবং এন্টিঅক্সিডেন্টস। গাজরের অনেক উপকারিতা আছে, যেমন- গাজর কোলেস্টেরল কমায় এবং চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৭. লো ফ্যাট চিজ - লো ফ্যাট চিজ যদি পরিমাণমতো খাওয়া হয়, তাহলে সেটা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে। কটেজ চিজ বা পারমেজান চিজ স্বল্প পরিমানে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। গবেষণায় দেখা গিয়েছে চিজে আছে গ্লুটাথাইয়োনে, যা এমন একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট যেটা ব্রেইন হেলথ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৮. গ্রানোলা বার - গ্রানোলা বার এনার্জি বাড়াতে, কোলেস্টেরল কমাতে, এনেমিয়া রোধ করতে, ফাইবার-প্রোটিন আর ভিটামিন ই-এর যোগান দিতে সাহায্য করে। ব্রেইনের কগনিটিভ এক্টিভিটি বৃদ্ধি করায় গ্রানোলা বার শ্রেয়।
SHARE THIS ARTICLE